
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: ৫ আগষ্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বিএনপি নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী এডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে পুরো নাটোরবাসী। নাটোর জেলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করছেন দুলুর আত্মীয়-স্বজন এবং বিশেষ ক্যাডার বাহিনী। এই বাহিনীর নেতৃত্বে আছে, তার ভাতিজা, ভাগিনা, ভাস্তি জামাই এবং কিছু বিশ্বস্ত চামুন্ডা! এদের লাগামহীন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ধারাবাহিক চাঁদাবাজিতে এখন রীতিমতো অতিষ্ঠ নাটোর জেলার জনগণ।
রুহুল কুদ্দুস দুলুর আদি নিবাস রাজশাহীর আড়ায়। কিন্তু তার বাপ-চাচার ডাকাতী ও নির্মমতায় ওই এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে, শেষে তাদেরকে গ্রাম ছাড়া করে। এরপর তারা চলে আসে নাটোরে। এখানে এসে দুলুর পরিবার নামের শেষে জুড়ে দেয় তালুকদার! হয়ে উঠে বনিয়াদি পরিবার। একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, দুলুর রাজনৈতিক উত্থান হয় বিগত ২০০১ সনে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে। সে সময় একান্তই নিজের শক্তি, সামর্থ্য এবং নিজস্ব বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে সৃষ্টি করেন জেএমবি। এই জেএমবি সৃষ্টির পিছনে মূল কারণ ছিল পুরো নাটোর জেলা ও আশপাশের এলাকায় নিজের দূর্ভেদ্য আধিপত্য বিস্তারের মধ্য দিয়ে অপরাধ সাম্রাজ্য গড়ে তোলা। পরে এই জেএমবি পরিণত হয় রাষ্ট্রীয় বিষফোড়ায়।
দুলুর শিক্ষাজীবন নাটোরের সরকারী স্কুল ও কলেজে হলেও তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উভয় পরীক্ষা দিয়েছেন নক্সাল অধ্যুষিত নলডাঙ্গার কোন এক অখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, নলডাঙ্গায় দুলুর হয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতেন অন্যজন! অপর এক সূত্র দুলুর এলএলবি পাশ নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তাদের দাবি প্রকৃত পক্ষে দুলুর কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই!
এদিকে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু তার নিয়ন্ত্রিত সিন্ডিকেট দিয়ে পুরো নাটোর জেলা নিয়ন্ত্রণ করছেন। এক্ষেত্রে তিনি কয়েক বছর আগে কুড়িগ্রামে থেকে নাটোরে কাজের অন্বেষণে আসা রাখাল ছেলে ফরহাদ আলী শাহিন ও ফয়সাল আলম আবুল বেপারীকে বেছে নিয়েছেন। উল্লেখ, এই শাহীন কোন কাজ না পেয়ে এক গৃহস্থের ঘরে পেটে ভাতে রাখাল হিসেবে কাজ শুরু করে। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই দুলু সিন্ডিকেটে যোগ দেয় সে। এরপর শুরু করে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড। রাতারাতি দুলুর আশির্বাদে হয়ে ওঠে শতকোটি টাকার মালিক। গত ছয় মাসের মধ্যে নাটোরে কিনেন আলিশান বাড়ি ও গাড়ি। শাহিন থেকে হয়ে যান দেওয়ান শাহিন! এলাকার মানুষের বক্তব্য দুলুর হাত ধরে সে পেয়ে যায় আলাদীনের চেরাগ। এই শাহীন একটা মহাবেয়াদব! সে শিক্ষক এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও গালমন্দ করে কথা বলে। এই লম্পট স্থানীয় আওয়ামী লীগের জৈনক এক নেতার বৌকে বাগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু দুলুর প্রশ্রয়ে তার কোন বিচার হয় নাই। শাহিন একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় মত্ত। লোকমুখে জানা যায়, দুলুর প্রথম স্ত্রী, নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন ছবির সঙ্গেও রয়েছে দেওয়ান শাহিনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক! ধূর্ত দেওয়ান শাহিনকে আজীবন নিজের বশে রাখতেই ছবিকে ব্যবহার করছেন দুলু!

অপর সদস্য আবুল বেপারী। সেও দুলুর দক্ষিণহস্ত এবং নির্দেশনা বাস্তবায়নকারী। আবুল বেপারী প্রকাশ্যে হুমকি-ধমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করে। এরইমধ্যে পুরো নাটোরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পুরোদমে অব্যাহত রাখতে দুলুর পায়ে কদমবুসি করে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি বানিয়েছে তার আপন ছোট ভাই কামরুলকে।
এখানেই শেষ নয়, ইতিপূর্বে যারা আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যের (সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী) ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত, তারাও এখন দুলু ও তার পরিজনের আশীর্বাদ এবং পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপি নেতা বনে গেছেন। অথচ তারাই বিগত সময়ে বিএনপি নেতা কর্মীদের বিভিন্নভাবে হামলা, মামলা এবং হয়রানি করেছিলেন। এদের মধ্যে অন্যতম লুৎফুর রহমান। যিনি ওয়ালটন প্লাজায় চুরি ও মাছ লুটের সাথে জড়িত। কথিত আছে দুলুর অবৈধ টাকা উপার্জনের মেশিন হচ্ছে এই লুৎফুর! সে নাটোরে দুলুর ‘টাকার মেশিন’ হিসেবে সমাধিক পরিচিত। সে দুলুর হস্তক্ষেপে এখন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য।
দুলুর ভাস্তি জামাই রহিম নেওয়াজ, বর্তমান জেলা বিএনপির আহবায়ক। এলাকার লোকজনের কাছে সে ‘দুলুর বলদ’ হিসেবে পরিচিত। “কুলুর বলদ” যেরকম কোন চিন্তা করার শক্তি রাখে না, ঠিক ‘দুলুর বলদ’ তেমনি দুলুর চিন্তা বা কল্পনার বাইরে কোন কিছুই করতে পারে না। অন্যদিকে, জেলার ঠিকাদারদের নিয়ন্ত্রণ করে দুলুর বিশ্বস্ত আনিস হাজী। এ খ্যাত থেকে নিয়মিত চাঁদার টাকা আদায় করে, দুলুর কাছে পৌঁছে দেন আনিস।
অপকর্মের আরেক হোতা, দুলুর সাবেক পিএস, আরপি পরিবহনের বাস চুরি করে দীর্ঘ ১২ বছর এলাকা ছাড়া ছিলেন ৮ ম শ্রেণী পাস ইব্রাহীম মেম্বার। বর্তমানে নাটোরের ত্রাস ইব্রাহীমের ছেলে, এলাকার চিহ্নিত টেরোরিস্ট ও নাটোর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি, দুলুর অজ্ঞাবহ এবং সমস্ত অপকর্মের বাস্তবায়নকারী আবু ইউসুফ লাম। আওয়ামী ক্ষমতার পালাবদলের পর শক্তিশালী দানবের রূপ নিয়ে নাটোরবাসির উপর অত্যাচারের থাবা বিস্তার করেছে দুলু সিন্ডিকেট!!
রুহুল কুদ্দুস দুলু নাটোরে আওয়ামী পুনর্বাসনে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন। তার কিছু নমুনা প্রকাশ্যে জনসম্মুখে এসেছে- আওয়ামী সমর্থিত নাটোরের প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার সুজিত রায় ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে দুলুর আশির্বাদ প্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার একটি এপার্টম্যান্টে নিরাপদে পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। তার সাথে নাটোরের অনেক আওয়ামী নেতা, এমপি ও চিহ্নিত ব্যক্তিরা দুলুকে আর্থিকভাবে ম্যানেজ করে একই এপার্টম্যান্টের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে আত্মগোপনে আছেন।
এই সুজিত কে পুলিশ আটক করলে, দুলুর হস্তক্ষেপ ও নির্দেশে নাটোর জেল সুপার তাকে জামাই আপ্যায়নে জেলে রাখেন এবং ৩ দিনের মধ্যে দুলুর ভাই রুহুল আমিন তালুকদার টগর তাকে জামিনে মুক্ত করেন। টগর বর্তমানে নাটোর বারের পিপি। যে কারণে জামিন বাণিজ্যে তার এখন পোয়াবার।
জেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক, দুলুর ডানহাত আব্দুল আজিজ এরই মধ্যে গুরুদাসপুর- বড়াইগ্রাম আসনে নমিনেশন চূড়ান্ত করেছেন রুহুল কুদ্দুস দুলুকে প্রাডো-৮ জিপ গাড়ি উপহার দিয়ে। এই আঃ আজিজের লোকজন কিছুদিন আগে মাছ ও হোন্ডা চুরির অভিযোগে থানায় আটক হয়।
গত ১৭ বছর যেই সুফি আবু সাঈদ নাটোরের অপরাধ জগতের গডফাদার হিসেবে পরিচিত, তাকে ৫ কোটি টাকার বিনিময়ে আজিজ পূণর্বাসন ও রক্ষা করছেন। বেঁচে থাকলে যিনি বিএনপি’র এমপি প্রার্থী হতেন, সেই জনপ্রিয় সানাউল হক বাবুর হত্যাকারী জাকিরকে নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করছেন আজিজ! আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শোভাযাত্রা এবং মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে নিয়মিত এমপির পাশে থাকতেন এই আব্দুল আজিজ। অথচ আজ তিনি জেলা আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক! এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে, দুলুর প্রচ্ছন্ন আশীর্বাদ। এখানেই খান্ত হননি রুহুল কুদ্দুস দুলু। দুলুর পরিবার তন্ত্রে নাটোর বদ করার মানসে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক বানিয়েছেন তার ভাতিজা টপটেরর ডালিমকে। বর্তমানে নাটোরে যারা দুলু পূজায় অভ্যস্ত, তারা বিএনপি আর দুলুর মতের বাইরের গেলেই সে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর! রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুরো নাটোরের স্বঘোষিত সম্রাট এখন রুহুল কুদ্দুস দুলু!
দুলু এবং তার সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে পুরো জেলায় শুরু হয়েছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল ও টেন্ডার বাণিজ্য। এরই মধ্যে এই চক্র নাটোর জুড়ে তাদের শক্তিশালী বাহিনীর জানান দিয়েছে। বিএনপি নেতা এডভোকেট এম. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর ভাতিজা-ভাগিনারদের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আতঙ্কিত পুরো নাটোর এলাকার সাধারণ জনগণ।
রুহুল কুদ্দুস দুলুর রয়েছে একটি টর্চার সেল! কাউকে তুলে এনে এখানে টর্চার করা হয়। কোন নারীকে অপহরণ ও নির্যাতন এখানেই করে দুলু ও তার লোকজন। রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু যার নারী লিপ্সায় অনেক সংসার ভেঙে তছনছ হয়েছে। ইউসিবিএল ব্যাংকে কর্মরত দুলুর দ্বিতীয় স্ত্রী, থাকেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। দুলুর এই স্ত্রী সাবেক এমপি’র ছেলে এ্যাডভোকেট টিটুর বিবাহিত বৌ। টিটুকে হত্যার হুমকি দিয়ে তার স্ত্রীকে জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। এই রুহুল কুদ্দুস দুলু নিজের কুৎসিত নারী লিপ্সা পূর্ণ করার জন্য অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। যা পুরো নাটোরে ওপেন সিক্রেট। কিন্তু ভয়ঙ্কর এই দানবের ভয়ে এলাকার মানুষ তার ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ। এছাড়া কারোর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, জমি দখল, কাউকে নদীতে চুবানো, পুকুর ও ধান ক্ষেত লুট এসবই দুলুর নির্দেশে বাস্তবায়ন করা হয় এই টর্চার সেল থেকে।
দুলুর আরেক প্রিয়ভাজন তার আপন ভাগিনা, নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বুলবুল। সে দুলুর আপন ভাগিনা। এরইমধ্যে সে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের অঘোষিত সম্রাট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। পটপরিবর্তনের পর বুলবুল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আদায় করে আসছেন চাঁদা। ইতিমধ্যে নাসির উদ্দিন তালুকদার মহাবিদ্যালয় হতে ১০ লাখ, পুরুত্তোমবাটি হাই স্কুল হতে ৮ লাখ, মোমিনপুর কলেজ হতে ৭ লাখ, ছাতারবাগ স্কুল এন্ড কলেজ হতে ৭ লাখ, ডাঃ শ্রীশ চন্দ্র বিদ্যানিকেতন থেকে ৭ লাখ ও বিদ্যালয়ের ৫৩ বিঘা জমির লিজ থেকে ৫ লাখ এবং ৮১ ছাতারবাগ স্কুল এন্ড কলেজ হতে ৫ লাখ এবং ছাতার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করেন।
এছাড়া মাধবপুর স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নিযুক্ত করার জন্য জাফর মাস্টারের কাছ থেকে ১ লক্ষ ও আজগর আলীর ছেলের নিকট থেকে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা নেন। দুলুর নির্দেশনা অনুযায়ী নাটোর এলাকার প্রতিটি হাই স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিযুক্তি বাবদ চাদা হিসেবে প্রতিটি স্কুল থেকে নেয়া হয় ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। বাদ যায়নি ভৃষনগাছা অভয়াশ্রম! এখান থেকে চাঁদা আদায় করা হয় ৫ লাখ টাকা।
এছাড়া আওয়ামী সমর্থিত খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাবকে নিরাপদে এলাকায় থাকা ও ইউনিয়ন পরিষদে অফিস করার নিশ্চয়তা দিয়ে আকলাকুর বাবুর মারফত ৫ লাখ এবং নিশি কবিরাজকে অপহরণ করে তার কাছ থেকে আদায় করা হয় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। হরিদাখলশীতে মোজাম্মেল মেম্বারের নিরাপত্তায় তার কাছ থেকে নেয়া হয় ১ লাখ ৫০ হাজার এবং একই এলাকার একটি দিঘি বাবদ চাঁদা নেন ২ লাখ টাকা।
এই বাহিনীর নেতৃত্বে নলডাঙ্গা সাব রেজিস্ট্রি অফিস দলিল লিখক সমিতি থেকে আদায় করা হয় ৫ লাখ টাকা। এছাড়া কুচকুড়ি জমির ভেজাল মেটাতে নেয়া হয় পাঁচ লাখ এবং শ্যামলীর পরিবহনের সুপারভাইজার মামুনের নিকট হতে জমির মীমাংসা বাবদ চাঁদা আদায় করা হয় ২ লাখ টাকা।
মাধনগরে খাল ও পুকুর খননের মাটি বিক্রি হতে পাপেল তালুকদার ও আরিফ উদ্দিনের মাধ্যমে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রতি সপ্তাহে ৭ লাখ টাকা করে আদায় করা হয়। রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর পালিত ও আশির্বাদপুষ্ট এই চক্র বাসুদেবপুর বাজারের মন্দির ভাঙ্গায় চাঁদা আদায় করেন ২ লাখ টাকা।
এখানেই থেমে যায়নি তাদের চাঁদাবাজি, তারা ব্যক্তি পর্যায়ে চাঁদা তোলা অব্যাহত রাখেন, এই চক্র বিপ্রবেলঘড়িয়া চকপাড়ার সৌদি প্রবাসী বাবুর কাছ থেকে ৩ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা, বামনগ্রামের হুরমতের ছেলে নাসিরের কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার, বেলঘড়িয়া গ্রামের মুস্তার ছেলে আরিফের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও তার বাহিনীর নির্মম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অপহরণ, নির্যাতন ও চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পুরো নাটোর জেলার জনগণ। কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না তাদের এই নির্মমতার রথ। ক্রমেই বেপরোয়া ও ভয়ংকর হয়ে উঠছে দুলু বাহিনী। তাদের বেপরোয়া সন্ত্রাসী আচরণ জয়নাল হাজারী, শামীম ওসমান, নিক্সন চৌধুরী কিংবা গাজীপুরের কুখ্যাত ইমদাদুল হক ইমদুকেও হার মানাবে! যত দ্রুত সম্ভব এই চক্রের হাত থেকে পরিত্রাণ চায় নাটোর জেলাবাসী।