চট্টগ্রাম আদালতে বিচারককে জুতা ছুড়ে মারলেন আসামি

চট্টগ্রাম আদালতে বিচারককে জুতা

নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম আদালতে জামিন না পেয়ে বিচারককে জুতো ছুড়ে মেরেছেন মো. মনির খাঁ মাইকেল (৩১) নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার এক আসামি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের দিকে পরপর দুটো জুতা ছোড়েন এ আসামি। তবে সেগুলো বিচারকের মাথার ওপর দিয়ে পেছনে চলে যায়। চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মনির খাঁ মাইকেল নামে ওই আসামির জামিন শুনানির দিন ছিল মঙ্গলবার। তাকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। বিচারক খাস কামরা থেকে এজলাসে এসে বসার মুহূর্তেই আসামি মাইকেল বিচারককে লক্ষ্য করে গালমন্দ করেন এবং একটি জুতা ছুড়ে মারেন। বিচারক বসে যাওয়ায় তার মাথার ওপর দিয়ে জুতাটি পেছনে চলে গেছে, গায়ে লাগেনি। পরপর দুটো জুতা ছুড়ে মারেন ওই আসামি।

 

পিপি বলেন, আজকে তার জামিন শুনানি হওয়ার কথা ছিল। জামিন আবেদন পেন্ডিং ছিল। আগেও একবার জামিন চেয়েছিল। কিন্তু ওই আবেদন নামঞ্জুর হয়। আজকে বিচারক এজলাসে আসার সঙ্গে সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করেন আসামি। এরপর আমি আদালতকে বলেছি, আসামিকে পুনরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হোক। তখন পুলিশের সহযোগিতায় তাকে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। জামিন আবেদনও তার আইনজীবী প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

চট্টগ্রাম আদালতে বিচারককে জুতা

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলার কোর্ট পরিদর্শক জাকির হোসাইন মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম আদালতে বিচারককে জুতা ছুড়ে মারার পর ওই আসামিকে আদালত থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিচারক মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে।

 

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, আদালত থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানা পুলিশের এসআই তপু সাহা বাদী হয়ে মনির খান মাইকেল বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন। সেই মামলায় গত ২৩ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান আসামি। গত ২০ জুন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। মামলাটি এখন বিচারিক প্রক্রিয়ায় আছে।

Related Post:
কারাগারে বাবা-ভাইকে দেখতে যাওয়ার পথে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী!