চট্টগ্রামের আতঙ্ক ছোট সাজ্জাদ, থাকছেন পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে

শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ

চট্টগ্রামে খুন, চাঁদাবাজি, দখল, আধিপত্য বিস্তার কিংবা প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া-সব কাজই করে বেড়ায় সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ। তার দাপটে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বায়েজিদ, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও হাটহাজারীর মানুষ।

 

জানা যায়, চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে নগরীর বায়েজিদ এলাকার একটি বাড়িতে গত সেপ্টেম্বর মাসে অস্ত্র হাতে সহযোগীদের নিয়ে প্রবেশ করে সাজ্জাদ হোসেন। এর আগে ৫ আগস্ট চান্দগাঁওয়ের হাজিরপুলে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ করেন তিনি। এছাড়াও গত ২৯ আগস্ট বায়েজিদ-হাটহাজারী এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা আনিস ও যুবলীগ কর্মী মাসুদ পারভেজ এবং ২১ অক্টোবর চান্দগাঁওয়ে আফতাব উদ্দিন তাহসিনকে গুলি করে খুনের ঘটনায়ও উঠে আসে তার নাম। ১০ জনের মতো একটি বাহিনী নিয়ে সবসময় ঘোরাফেরা করেন তিনি।

 

হত্যার আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় নিহতের স্বজনরা। তারা জানান, সন্ত্রাসী সাজ্জাদ একের পর এক খুন করছে। খুন করার পরেও সে অস্ত্র হাতে নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরছে। এ খুনিদের বিচার চাই।

 

স্থানীয়রা জানায়, সাজ্জাদ কিশোর বয়সেই বেপরোয়া হয়ে উঠে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খানের আশ্রয়ে। তার ভাতিজা মোহাম্মদের মাধ্যমে এলাকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে সাজ্জাদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান দিয়েই হত্যাসহ নানা অপরাধ করেন তিনি। এমনকি পলাতক থেকেও অনেককে হুমকি দিচ্ছে তিনি। এতে আতঙ্কে রয়েছে এলাকার মানুষ।

 

সিএমপি ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনসের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রইছ উদ্দিন বলেন, আমরা তদন্তে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছি। এই ছোট সাজ্জাদকে যাতে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা যায় সে ব্যাপারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

 

তিনি আরো বলেন, বায়েজিদ, হাটহাজারী, চান্দগাঁও ছাড়াও রাঙ্গুনিয়া থানায়ও একাধিক মামলা রয়েছে সাজ্জাদের নামে।