এলাকায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় প্রধান পেশা

crimetube.xyz

নিউজ ডেস্কঃ এলাকায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। জনগণের আস্থা অর্জনে নিয়মিত আয়োজন করেন গানের আসরসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। আর এসবই হয় মুক্তিপণ-এর টাকায়। এটি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মেম্বার জসিম ফকির ও তার পরিবারের কথা।

 

অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করাই ছিল এই চক্রের পারিবারিক ব্যবসা। গানের আসরে ভালোমানুষি চেহারা দেখে কোনোভাবেই বোঝার উপায় নেই, স্থানীয় ইউপি মেম্বার জসিম ফকিরের অন্ধকার জগতের ভয়ঙ্কর রূপ। মানুষের বিশ্বাস অর্জনে এলাকায় এরকম নানা আয়োজন করলেও, মূলত এই জনপ্রতিনিধির পেশা অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়।

 

ইরাকের একটি সুপার শপে কাজ করতেন মাইনুদ্দিন। সেখানে জসিম ফকিরের স্বজনেরা তাকে বেশি বেতনে কাজের কথা বলে অপহরণ করে। পরে চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। আবার খাবার চাইলেই দেয়া হতো তারই মল-মূত্র।

 

একই পরিস্থিতির শিকার কুড়িগ্রামের নজরুল ইসলাম। এভাবেই চক্রটি প্রবাসীদের বন্দি করে মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করেছে কোটি কোটি টাকা । চক্রের মূলহোতা জসিম ফকির জানান, ১৭ বছর ইরাকে ছিলেন তিনি। এসময় আপন ভাইসহ পরিবারের ১০ সদস্যদের সেখানে নিয়ে যান।

 

জসিম ফকির স্বজনরাই সেখানে প্রবাসীদের অপহরণ করতো। আর তাদের কাজ ছিল মুক্তিপনের টাকা সংগ্রহ ও বিদেশ পাঠানো। পুলিশ বলছে, শত শত প্রবাসী এই চক্রের মাধ্যমে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর গেল দুই সপ্তাহে শুধু জসিম ফকিরের একাউন্টে মুক্তিপণের টাকা ঢুকেছে ৩১ লাখ।

 

পুলিশের গোয়েন্দা (গুলশান-ডিএমপি) বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান জানান, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এধরনের বেশ কয়েকটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। তাদের ধরতেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।